সংসার
কাঁচা মনকে সংসারে রাখতে গেলে মন মলিন হয়ে যায়৷ জ্ঞান লাভ করে তবে সংসারে থাকতে হয়৷ শুধু জলে দুধ রাখলে দুধ নষ্ট হয়ে যায়৷ মাখন তুলে জলের উপর রাখলে আর কোন গোল থাকে না৷
আমি বলি, অনাসক্ত হয়ে সংসার কর৷ হাতে তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙ্গ—তাহলে হাতে আঠা লাগবে না৷
আমি বলি, চৈতন্যলাভের পর সংসারে গিয়ে থাক৷ অনেক পরিশ্রম করে যদি কেউ সোনা পায়, সে মাটির ভিতর রাখতে পারে—বাক্সের ভিতরও রাখতে পারে, জলের ভিতরও রাখতে পারে—সোনার কিছু হয় না৷
তুমি সংসারে থেকে ঈশ্বরের প্রতি মন রেখেছ, এ কি কম কথা? যে সংসারত্যাগী সে তো ঈশ্বরকে ডাকবেই৷ তাতে আর বাহাদুরি কি? সংসারে থেকে যে ডাকে, সেই ধন্য৷
যতক্ষণ না ঈশ্বরলাভ হয়, ততক্ষণ পুণঃ পুণঃ সংসারে যাতায়াত করতে হবে৷ কুমোরেরা হাঁড়ি-সরা রৌদ্রে শুকুতে দেয়; ছাগল গরুতে মাড়িয়ে যদি ভেঙে দেয় তাহলে তৈরী লাল হাঁড়িগুলো ফেলে দেয়৷ কাঁচাগুলো কিন্তু আবার নিয়ে কাদামাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলে ও আবার চাকে দেয়৷
ভক্তি-ভক্ত
কুঠির উপর থেকে আরতির সময় চেঁচাতাম, ‘ওরে তোরা কে কোথায় আছিস আয়৷’ দেখো, এখন সব ক্রমে ক্রমে এসে জুটছে৷ এর(নিজের) ভিতর তিনি নিজে রয়েছেন—যেন নিজে থেকে এইসব ভক্ত লয়ে কাজ করছেন৷
এর ভিতর যিনি আছে, আগে থাকতে জানিয়ে দেয়, কোন্ থাকের ভক্ত আসবে৷ যাই দেখি গৌরাঙ্গরূপ সামনে এসেছেন, অমনি বুঝতে পারি গৌরভক্ত আসছে৷
মাকে যাই বললাম, ‘মা, এ দেহ রক্ষা কেমন করে হবে, আর সাধুভক্ত লয়ে কেমন করে থাকব!—একটা বড় মানুষ জুটিয়ে দাও!’ তাই সেজবাবু চৌদ্দ বৎসর ধরে সেবা করলে!
যে আন্তরিক ঈশ্বরকে ডাকবে তার এখানে আসতেই হবে! আসতেই হবে! দেখো, তাই হচ্ছে—সেইসব লোকই আসছে৷
সাধ ছিল—মাকে বলেছিলাম, মা, ভক্তের রাজা হব৷
এই ব্যারাম হয়েছে কেন?—এর মানে ওই৷ যাদের সকাম ভক্তি, তারা ব্যারাম অবস্থা দেখলে চলে যাবে৷ তা না হলে লোকে জ্বালাতন করত৷ লোকের ভিড় লেগে যেত—সেরূপ জ্যোতির্ময় দেহ থাকলে৷ এখন বাহিরে প্রকাশ নাই৷ এতে আগাছা পালায়—যারা শুদ্ধ ভক্ত তারাই কেবল থাকবে৷
যখন প্রথম এই অবস্থা হল, তখন জ্যোতিঃতে দেহ জ্বলজ্বল করত৷ বুক লাল হয়ে যেত৷ তখন বললুম, ‘মা, বাইরে প্রকাশ হয়ো না, ঢুকে যাও, ঢুকে যাও!’ তাই এখন এই হীন দেহ৷
তাই ভাবি এর (নিজের) ভিতর মা স্বয়ং ভক্ত হয়ে লীলা করছেন৷
এর(আমার) ভিতর একটা কিছু আছে৷ গোপাল সেন বলে একটি ছেলে আসত—অনেকদিন হল৷ এর ভিতর যিনি আছেন গোপালের বুকে পা দিলে৷ সে ভাবে বলতে লাগল, তোমার এখন দেরি আছে৷ আমি ঐহিকদের সঙ্গে থাকতে পারছি না,—তারপর ‘যাই’ বলে বাড়ি চলে গেল৷ তারপর শুনলাম দেহত্যাগ করেছে৷ সেই বোধ হয় নিত্যগোপাল৷
কিরূপ লোক(ভক্ত) এখানে আসবে, আসবার আগে দেখিয়ে দেয়৷ বটতলা থেকে বকুলতলা পর্যন্ত চৈতন্যদেবের সংকীর্তনের দল দেখালে৷ তাতে বলরামকে দেখলাম—না হলে মিছরি এ-সব দেবে কে!
রাম নারদকে বললেন, ‘তুমি বর লও৷’ নারদ বললেন, ‘রাম! এই বর দাও, যেন তোমার পাদপদ্মে শুদ্ধা ভক্তি হয়, আর যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ না হই৷’
জ্ঞানীরা মুক্তি(মোক্ষফল) চায়, ভক্তেরা ভক্তি চায়,—অহেতুকী ভক্তি৷ তারা ধর্ম, অর্থ, কাম চায় না৷
নন্দ বসু—পরলোক কি আছে? পাপের শাস্তি?
শ্রীরামকৃষ্ণ—তুমি আম খাও না! তোমার ও-সব হিসাবে দরকার কি? পরলোক আছে কি না—তাতে কি হয়—এ-সব খবর! আম খাও৷ ‘আম’ প্রয়োজন,—তাঁতে ভক্তি৷
ঈশ্বরে ভালবাসা/ব্যাকুলতা
শুধু পুঁথি পড়লে চৈতন্য হয় না—তাঁকে ডাকতে হয়৷ ব্যাকুল হলে তবে কুল-কুণ্ডলিনী জাগেন৷ শুনে, বই পড়ে জ্ঞানের কথা৷—তাতে কি হবে!
ভাব, মহাভাব, প্রেম
একটা ভাব আশ্রয় করে তাঁকে ডাকতে হয়৷ হনুমানের জ্ঞানভক্তি, নারদের শুদ্ধাভক্তি৷
ঈশ্বর/ঈশ্বর চিন্তা
শ্রীরামকৃষ্ণ:—তিনি নিজেই সব, ঈশ্বর নিজেই জীব, জগৎ সব হয়েছেন৷ যখন পূর্ণ জ্ঞান হবে, তখন ঐ বোধ৷ তিনি মন, বুদ্ধি, দেহ—চতুর্বিংশতি তত্ত্ব সব হয়েছেন৷ তিনি আর পক্ষপাত কার উপর করবেন?
শ্রীরামকৃষ্ণ: সে কি! তিনি ঈশ্বর, তিনি সব পারেন, যিনি আইন করেছেন, তিনি আইন বদলাতে পারেন৷
লোকশিক্ষা ও লোকহিত
বিবেক-বৈরাগ্য
সত্য
মা
সাধনা
রাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হনুমান! তুমি আমাকে কিভাবে অর্চনা কর?’ হনুমান বললেন, কখনও দেখি, তুমি পূর্ণ আমি অংশ; কখনও দেখি, তুমি প্রভু আমি দাস; আবার রাম যখন তত্ত্বজ্ঞান হয় তখন দেখি, তুমিই আমি—আমিই তুমি’৷
যোগ
ঈশ্বর ও কৃপা
তিন দিন করে কেঁদেছি, আর বেদ পুরাণ তন্ত্র—এ-সব শাস্ত্রে কি আছে—(তিনি) সব দেখিয়ে দিয়েছেন৷
শ্রীরামকৃষ্ণ—…কিন্তু ঈশ্বরেতে মন রাখা ভাল; তাঁকে ভুলে থাকা ভাল নয়৷
নন্দ বসু—তাঁতে মতি কই হয়?
শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর কৃপা হলে হয়৷
ঈশ্বরলাভ/মুক্তি
সকলে তাঁকে জানতে পারবে—সকলেই উদ্ধার হবে, তবে কেহ সকাল সকাল খেতে পায়, কেহ দুপুরবেলা, কেউ বা সন্ধ্যার সময়; কিন্তু কেহ অভুক্ত থাকবে না৷ সকলেই আপনার স্বরূপকে জানতে পারবে৷
ব্রহ্ম-শক্তি-জগত
তখন রাতদিন তার (ন্যাংটা) কাছে৷ কেবল বেদান্ত৷ বামনী বলত, ‘বাবা, বেদান্ত শুনো না—ওতে ভক্তির হানি হবে৷’
মায়া
আবার দেখালে,—যেন মস্ত দীঘি, পানায় ঢাকা৷ হাওয়াতে পানা একটু সরে গেল,—অমনি জল দেখা গেল৷ কিন্তু দেখতে দেখতে চারদিককার পানা নাচতে নাচতে এসে, আবার ঢেকে ফেললে! দেখালে, ওই জল, যেন সচ্চিদানন্দ, আর পানা যেন মায়া৷
মহামায়ার মায়া যে কি, তা একদিন দেখালে৷ ঘরের ভিতর ছোট জ্যোতিঃ ক্রমে ক্রমে বাড়তে লাগল৷ আর জগতকে ঢেকে ফেলতে লাগল৷
কামিনী-কাঞ্চন একপ্রকার মদ৷ অনেক মদ খেলে খুড়া-জ্যাঠা বোধ থাকে না, তাদেরই বলে ফেলে তোর গুষ্টির; মাতালের গুরু-লঘু বোধ থাকে না৷
নন্দ বসু—তিনি নানারূপ কেন হয়েছেন?
শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর খুশি৷…তিনি আনন্দময়ী৷ সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের লীলা করছেন৷ অসংখ্য জীব, তার মধ্যে দু-একটি মুক্ত হয়ে যাচ্ছে,—তাতেও আনন্দ৷
সাধনস্তর/সমাধি
হৃদয় যখন এল—বেশ মনে পড়ছে—জিহ্বা দিয়ে রমণ করবার পর দ্বাদশ দল অধোমুখ পদ্ম ঊর্ধ্বমুখ হল, আর প্রস্ফূটিত হল! তারপর কন্ঠে ষোড়শদল, আর কপালে দ্বিদল৷ শেষে সহস্রদল পদ্ম প্রস্ফূটিত হল৷ সেই অবধি আমার এই অবস্থা৷
এক-একজন ভক্তের অবস্থা কি আশ্চর্য! ছোট নরেন—এর কুম্ভক আপনি হয়৷ আবার সমাধি! এক-একবার কখন কখন আড়াই ঘন্টা! কখনও বেশি৷ কী আশ্চর্য!
ন্যাংটা বেদান্তের উপদেশ দিলে৷ তিন দিনেই সমাধি৷ মাধবীতলায় ঐ সমাধি অবস্থা দেখে সে হতবুদ্ধি হয়ে বলছে, ‘আরে এ কেয়া রে!’ পরে সে বুঝতে পারলে—এর ভিতর কে আছে৷
মূলাধারে কুলকুণ্ডলিনী৷ চৈতন্য হলে তিনি সুষুম্না নাড়ীর মধ্য দিয়ে স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর এইসব চক্র ভেদ করে, শেষে শিরোমধ্যে গিয়ে পড়েন৷ এরই নাম মহাবায়ুর গতি—তবেই শেষে সমাধি হয়৷
আবার কখনও পাখির মতো এ-ডাল থেকে ও-ডাল,—মহাবায়ু উঠতে থাকে৷ যে ডালে বসে, সে স্থান আগুনের মত বোধ হয়৷ হয়তো মূলাধার থেকে স্বাধিষ্ঠান, স্বাধিষ্ঠান থেকে হৃদয়, এইরূপ ক্রমে মাথায় উঠে৷
কখনো পাশ ফিরে রয়েছি, মহাবায়ু, বানরের ন্যায় আমায় ঠেলে—আমোদ করে৷ আমি চুপ করে থাকি৷ সেই বায়ু হঠাৎ বানরের ন্যায় লাফ দিয়ে সহস্রারে উঠে যায়৷ তাই তো তিড়িং করে লাফিয়ে উঠি৷
কখনও বায়ু উঠে পিঁপড়ের মতো শিড় শিড় করে—কখনও সমাধি অবস্থায় ভাব-সমুদ্রের ভিতর আত্মা-মীন আনন্দে খেলা করে৷
হৃষীকেশ সাধু এসেছিল৷ সে বললে যে, সমাধি পাঁচ প্রকার—তা তোমার সবই হয় দেখছি৷ পিপীলিকাবৎ, মীনবৎ, কপিবৎ, পক্ষীবৎ, তীর্যগবৎ৷
বেলতলায় অনেক তন্ত্রের সাধন হয়েছিল৷ মড়ার মাথা নিয়ে৷ আবার…আসন৷ বামনী সব যোগাড় করত৷…আর একটি অবস্থা হত৷ যেদিন অহংকার করতুম, তার পরদিনই অসুখ হত৷
গিরিশ(সহাস্যে): আপনার সাধন করা কেন?
শ্রীরামকৃষ্ণ(সহাস্যে): ভগবতী শিবের জন্য অনেক কঠোর সাধন করেছিলেন,—পঞ্চতপা, শীতকালে জলে গা বুড়িয়ে থাকা, সূর্যের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকা৷
কর্ম ও কর্মফল
জপ, ধ্যান, পূজা এ-সব রাতদিন অভ্যাস করতে হয়,—তাহলে মৃত্যুকালে ঈশ্বরচিন্তা আসে—অভ্যাসের গুণে৷ এরূপে মৃত্যু হলে ঈশ্বরের স্বরূপ পায়৷
বিদ্যাসাগর
ধর্ম সমন্বয়
সাকার-নিরাকার-অবতার
এর (নিজের) ভিতরে কে আছেন, আমার বাপেরা জানত৷ বাপ গয়াতে স্বপ্নে দেখেছিলেন,—রঘুবীর বলছেন, ‘আমি তোমার ছেলে হব৷’—এর ভিতরে তিনিই আছেন৷ কামিনী-কাঞ্চনত্যাগ! একি আমার কর্ম!
কথা কয়েছে!—শুধু দর্শন নয়—কথা কয়েছে৷ বটতলায় দেখলাম, গঙ্গার ভিতর থেকে উঠে এসে—তারপর কত হাসি৷ খেলার ছলে আঙুল মটকান হল৷ তারপর কথা—কথা কয়েছে!
(মহিমাচরণকে) আমার যা অবস্থা—আপনি বলেন, সাধন করলেই ওরকম হয়, তা নয়৷ এতে (আমাতে) বিশেষ কিছু আছে৷
ছোকরারা অনেকেই অন্তরঙ্গ৷ যারা অন্তরঙ্গ তাদের মুক্তি হবে না৷ বায়ুকোণে আর একবার (আমার) দেহ হবে৷
শ্রীরামকৃষ্ণ: এক এক! এক বই কি৷ তিনি(ঈশ্বর),—দেখছ না,—যেন এর উপর (নিজের শরীরের উপর) এমন করে রয়েছে৷
বিশ্বাস
জ্ঞান-বিজ্ঞান
জ্ঞানের দুটি লক্ষণ, প্রথম অভিমান থাকবে না, দ্বিতীয় শান্ত স্বভাব৷
আমি/অহংকার
যে ‘আমি’ কামিনী-কাঞ্চনে আসক্ত হয়, সেই ‘আমি’ কাঁচা আমি, সে ‘আমি’ ত্যাগ করতে হয়৷
যে ‘আমি’ কামিনী-কাঞ্চনে আসক্ত হয়, সেই ‘আমি’ কাঁচা আমি, সে ‘আমি’ ত্যাগ করতে হয়৷
আমি কি, এটা খোঁজো দেখি৷ আমি কি হাড়, না মাংস, না রক্ত, না নাড়িভুঁড়ি? আমি খুঁজতে খুঁজতে ‘তুমি’ এসে পড়ে, অর্থাৎ অন্তরে সেই ঈশ্বরের শক্তি বই আর কিছু নাই৷ ‘আমি’ নাই!—তিনি৷
যতক্ষণ না তাঁকে জানতে পাচ্ছ, ততক্ষণ ‘আমি’ আমি’ করছ!
ত্যাগ
পাণ্ডিত্য
গুণ ও ঐশ্বর্য
বিদ্যাসাগরও ওই কথা বলেছিল,— ‘তিনি কি কারুকে বেশি শক্তি কারুকে কম শক্তি দিয়েছেন?’ তখন আমি বললাম—যদি শক্তি ভিন্ন না হয়, তাহলে তোমাকে আমরা কেন দেখতে এসেছি? তোমার মাথায় কি দুটো শিং বেরিয়েছে?
ঈশ্বরলাভের/জ্ঞানের লক্ষণ
আত্ম সমর্পন
গুরু
সাধুসঙ্গ
নরেন্দ্র
আশ্চর্য দর্শন সব হয়েছে৷ অখণ্ড সচ্চিদানন্দদর্শন৷ তার ভিতর দেখছি, মাঝে বেড়া দেওয়া দুই থাক৷ একধারে কেদার, চূনি, আর আর অনেক সাকারবাদী ভক্ত৷ বেড়ার আর-একধারে টকটকে লাল সুরকির কাঁড়ির মতো জ্যোতিঃ৷ তার মধ্যে বসে নরেন্দ্র৷
ডাক্তার
নিত্য/ লীলা
মন-বুদ্ধি-আত্মা
চৈতন্য
চিত্তশুদ্ধি/সংস্কার
ছোকরাদের দেখে আমার প্রাণ শীতল হয়৷ আর যারা ছেলে করেছে, মামলা মোকদ্দমা করে বেড়াচ্ছে—কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে রয়েছে—তাদের দেখলে কেমন করে আনন্দ হবে? শুদ্ধ-আত্মা না দেখলে কেমন করে থাকি?
এই যে গলায় এইটে হয়েছে, ওর হয়তো মানে আছে—সব লোকের কাছে পাছে হালকামি করি৷—না হলে যেখানে সেখানে নাচা-গাওয়া হয়ে যেত৷
কেশব সেন
কেশব সেনের সঙ্গে দেখা হবার আগে, তাকে দেখলাম! সমাধি অবস্থায় দেখলাম, কেশব সেন আর তার দল৷ একঘর লোক আমার সামনে বসে রয়েছে৷ কেশবকে দেখাচ্ছে, যেন একটি ময়ূর তার পাখা বিস্তার করে বসে আছে৷ পাখা অর্থাৎ দলবল৷
১১ july ২০২০ পর্যন্ত